খবরের সময় ডেস্ক
গাজীপুর মহানগরীর সালনা এলাকায় আমিনুল ইসলাম মডেল স্কুলে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ভিকটিম(১৪) খাবার হোটেল থেকে একাকী বাসায় ফেরার পথে দক্ষিণ সালনার তিন রাস্তার মোড় হতে তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে আসামীদের ভাড়াটিয়া বাসায় সারা রাত ভিকটিমের হাত, পা, মুখ,মুখ বেধে রেখে তার ইচ্ছা বিরুদ্ধে ০৩ জন ধর্ষণকারী পালাক্রমে গণধর্ষণ করে ও ধর্ষণের ভিডিও ও ছবি ধারন করে। পরবর্তীতে ভোর রাতে ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার হাত, পা, রশি দিয়ে বেঁধে রেখে তার মুখে কসটেপ এবং গলায় ওড়না পেচিয়ে বক্স খাটের ভিতর আটক রেখে ধর্ষণকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। ভিকটিমের গোঙ্গানীর শব্দে পাশের বাসার ভাড়াটিয়ারা ভিকটিমের পরিবারকে সংবাদ দিলে ঘটনার পরদিন ০২/১০/২০২০ তারিখ সকাল অনুমান ১০.২৫ ঘটিকার সময় এই গণধর্ষণের মূলহোতা আরিফ@সবুজ এর বন্ধু রাসেল এর সালনা এলাকার ভাড়া বাসার মধ্যে বক্স খাটের ভিতর থেকে হাত, পা, বাঁধা এবং গলায় ওড়না এবং মুখে কসটেপ পেচানো অজ্ঞান অবস্থায় ভিকস্টিমকে উদ্ধার করে এলাকাবাসীর সহায়তায় ভিকটিমের চিকিৎসার জন্য তাকে শহীদ তাজউদ্দিন আহম্মেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উক্ত গণধর্ষণ ঘটনা গাজীপুর তথা সালনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল এবং ব্যাপক ভাবে মিডিয়ায় প্রচার হয়েছিল। উক্ত ঘটনার বিষয়ে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে গাজীপুর মেট্টোঃ সদর থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নম্বর-০৪ তারিখ ০২/১০/২০২০ ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৭/৯(১)/৩০। ভিকটিমের পরিবার থানায় মামলা দায়ের করার পর ধর্ষণকারীরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ভিকটিমের পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে এবং তাদের জীবন নাশের হুমকি দিয়ে আসিতেছিল। উক্ত শিশু গণধর্ষণের পর আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য র্যাব-১ এর চৌকস আভিযানিক দল মরিয়া হয়ে উঠে এবং প্রধান আসামীর নাম জানা থাকলেও কেউ তাকে চিনতে পারেনি। ভিকটিমের দেওয়া শারীরিক গঠনের বর্ণনা মতে র্যাব আসামীকে খুঁজতে থাকে এবং উক্ত ধর্ষণকারীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে সোর্স নিয়োগসহ র্যাবের সকল ধরনের গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।
র্যাব-১, স্পেশালাইজড্ কোম্পানী পোড়াবাড়ী ক্যাম্প, গাজীপুরের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, উক্ত গণধর্ষণের মূলহোতা আরিফ@সবুজ গাজীপুরের তেলিপাড়া এলাকায় অবস্থান করিতেছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অত্র কোম্পানীর কোম্পানী কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন, (জি), বিএন এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স সহ জিএমপি, গাজীপুর বাসন থানাধীন তেলিপাড়া এলাকায় ।
অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে গণধর্ষণকারী মূলহোতা আসামী ১। আরিফ@সবুজ(২৮), পিতা-মৃত খোরশেদ আলম, মাতা-মোসাঃ আলিমুন নেছা, সাং-বরুড়াজানি, থানা-নালিতাবাড়ী, জেলা-শেরপুর, এ/পি-টেকনগপাড়া (জামাল মন্ডল এর বাড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা-বাসন, জিএমপি, গাজীপুর’কে গ্রেফতার করা হয়।
ধৃত আসামীর ভাষ্যমতে, ধৃত আসামী পেশায় একজন গ্যারেজ মিস্ত্রী। গত ০১/১০/২০২০ খ্রিঃ রাত অনুমান ১০.০০ ঘটিকা হতে পরদিন সকাল ০৫.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত ধৃত আসামী এবং তার সহযোগী ০৩ বন্ধু মিলে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ভিকটিম(১৪) কে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে একটি রুমে আটক করে রেখে তার হাত, পা, মুখমন্ডল বাধিয়া তাকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। পরবর্তীতে মেয়েটিকে হত্যার উদ্দেশ্যে মুখে কসটেপ পেচিয়ে হাত, পা বেধে গলায় ফাস দিয়ে বক্স খাটের নিচে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। ধৃত আসামী আরিফ@সবুজ এর পরিকল্পনা মতে, সে একটি ট্রাক নিয়ে এসে ভিকটিমের লাশটি উক্ত ট্রাকে করে নিয়ে দূরে কোথাও গিয়ে লাশ পানিতে ভাসিয়ে দিবে। এই মামলার অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টায় র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।